এবার বেটিং অ্যাপের সঙ্গে জড়িয়ে বেশ কয়েকবারই বিতর্কের মুখে পড়েন সাকিব আল হাসান। এবার বেটিং সাইটের সঙ্গে তার বোন জান্নাতুল হাসানের নাম উঠে এসেছে। জানা গেছে, আলোচিত বেটিং অ্যাপকাণ্ডে ভারতজুড়ে তোলপাড় চলছে। ইতোমধ্যেই ভারতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অ্যাপটিতে বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্তে বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিবের বোন জান্নাতুল হাসানের নামও এসেছে।
এ প্রসঙ্গে গতকাল রবিবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের ভাষ্য, আজকে সকালেই খবরটি দেখলাম। এখনই আমরা এটি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। সাকিবের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কোনো কথা হয়নি। এদিকে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের মন্তব্য, এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।
অন্যদিকে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা ক্রিকেটার সাকিবের বোন বা এই সংক্রান্ত বেটিং অ্যাপ নিয়ে কাজ করছি না। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদের দাবি, তাদের কাছে এই ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের অনলাইন ও আজতাক’র প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। জানা গেছে, এই অ্যাপকাণ্ডের তদন্তে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী গিরিশ তালরেজা ও সুরুজ চোখানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইডির সূত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়, 11wicket.com নামক বেটিং অ্যাপে সুরুজ চোখানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেন। তিনিই সাকিবের বোনের নাম প্রকাশ্যে এনেছেন। সুরুজের দাবি, সেই বিনিয়োগে টাইগার অলরাউন্ডারের বোন জান্নাতুল হাসানেরই বড় অংশীদারিত্ব ছিল।
এর আগে, গত বছরে মহাদেব বেটিং অ্যাপে (অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম) বিপুল আর্থিক দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। সেই ঘটনায় উঠে আসে ভারতের অনেক রথী-মহারথীর নাম। এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানোয় এক বছরের জন্য ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। এরপর বেটিং কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি।